Reporter: নিজস্ব সংবাদদাতা | লেখক: অঙ্গনা ঘোষ | Editor: শ্যামশ্রী সাহা ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৭ : ০৯Angana Ghosh

নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ৭ ডিসেম্বর মনের মানুষের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী সন্দীপ্তা সেন। অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতেই দীর্ঘদিনের বান্ধবীর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অভিনেতা সত্যম ভট্টাচার্য। কিন্তু বিয়ের পরেই কী হাওয়াবদল হল? একসঙ্গে "প্রিয় ঠিকানা"র খোঁজে পাড়ি দিলেন কোথায়?
আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই শুটিং শুরু হবে পরিচালক শিবাংশু ভট্টাচার্যের প্রেমের ছবি "প্রিয় ঠিকানা"র। ছবির মূল চরিত্রে রয়েছেন সত্যম, সন্দীপ্তা। গল্পের "মৃত্তিকা" আর "রোদ্দুর"! কলকাতা ও বোলপুর জুড়েই হবে শুটিং। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছনে অম্বরীশ ভট্টাচার্য, কৌশিক সেন, পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশ্বনাথ বসু, ও চান্দ্রেয়ী ঘোষ। এক্সক্লুসিভ ফার্স্ট লুক আজকাল ডট ইনের পাতায়।
চারপাশে ডিভোর্সের কথা শোনা যায় প্রায়শই। এর একটা বড় কারণ ইগো। অভিমানের পাহাড় পেরিয়ে দুটো মানুষ একটা সময় আর আগের মতো যোগাযোগ করতে পারেন না। এরকম দুটো মানুষের গল্প নিয়েই তৈরি হচ্ছে "প্রিয় ঠিকানা"!" স্ক্রিপ্ট পড়ে ভীষণ ভাল লেগেছে তাই পরিচালকের এক কথাতেই রাজি হয়েছেন সন্দীপ্তা। তাছাড়া এই ছবির হাত ধরেই অভিনেতা সত্যম ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্রথম জুটি বাঁধতে চলেছেন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, "সত্যম অসাধারণ অভিনেতা। এই প্রথম কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি, তাই খুবই এক্সাইটেড। শুধু সত্যম নয় পরাণ জেঠুর, কৌশিক দার সঙ্গেও এই প্রথম কাজ হবে আমার। চান্দ্রেয়ীদি"র সঙ্গে আগে টেলিভিশনে কাজ করেছি। ‌ প্রত্যেকেই বড় মাপের অভিনেতা। সবার সঙ্গে কাজ করার ভাল অভিজ্ঞতা হবে।"


বিয়ের পরে একটা নতুন ঠিকানা পায় দম্পতিরা। কিন্তু সেই ঠিকানায় কি আদৌ থাকেন তাঁরা সারাজীবন? থাকা যায় কি? সে সব প্রশ্নের উত্তর দেবে এই ছবি।
পরিচালকের কথায়, "দুটো মানুষ ভালবেসে সংসার সাজান। সেখানে ভালবাসার সঙ্গে অদ্ভুত কিছু অভিমানও জমা হতে থাকে রোজ। যা একটা সময় দূরত্ব বাড়িয়ে দেয়। তখনই প্রিয় মানুষ দুটো আর প্রিয় থাকে না। অভিমানের পাঁচিলে আটকে থেকে যায়। ঠিকানা বদলে যায়। এখানেই এই ছবির নামকরণের প্রাসঙ্গিকতা।"
কথায় কথায় শিবাংশু বলেন, "সত্যমের চেহারায় এক অদ্ভুত সারল্য আর বিশ্বাসযোগ্যতা আছে। সন্দীপ্তাও খুব বলিষ্ঠ অভিনেত্রী। এই ছবির জন্য তাই ওরাই ছিল আমার প্রথম পছন্দ। "
এই ছবিতে আইনজীবীর ভূমিকায় অভিনয় করছেন অম্বরীশ ভট্টাচার্য। তিনি কি পরামর্শ দেবেন মৃত্তিকা আর রোদ্দুরকে? দুটো চেনা মানুষ কি চিরতরে অচেনা হয়ে যাবে অভিমানের জালে জড়িয়ে? নাকি খুঁজে পাবে তাঁদের "প্রিয় ঠিকানা"?